সব কিছু
facebook lakshmipur24.com
লক্ষ্মীপুর শুক্রবার , ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রি-পেইড মিটার নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি

প্রি-পেইড মিটার নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি

0
Share

প্রি-পেইড মিটার নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি

২০২১ সালের মধ্যে সরকার দুই কোটি বাড়িতে প্রিপেইড মিটার বসানোর পরিকল্পনা হাতে নিলেও, কারিগরি ত্রুটি, চুরি ও গ্রাহকদের নানা অভিযোগের কারণে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। প্রিপেইড মিটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে  কয়েকটি এজেন্সি ও কোম্পানির কাছ থেকে গ্রাহকদের মিটার কেনা ছাড়া উপায় নেই। কারণ, এই ইলেকট্রিক গ্যাজেটগুলো মুক্তবাজারে পর্যাপ্ত পাওয়া যায় না। এছাড়া, প্রিপেইড রিচার্জ কার্ড কিনতে গেলেও অনেক ঝক্কি পোহাতে হয় গ্রাহকদের।  রিচার্জ কার্ডও সহজলভ্য নয়।

এছাড়া, ভাড়া বাসায় থাকা গ্রাহকরা প্রতিমাসে বিলের সঙ্গে বাড়তি ৪০ টাকা করে দেন।  অথচ দেওয়ার কথা ছিল বাড়ির মালিকদের।

বিদ্যুৎ অধিদফতরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিদ্যুৎ সরবরাহকারী ছয়টি এজেন্সি ও প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে সাত হাজার পোস্ট পেইড মিটারকে প্রিপেইডে রূপান্তরিত করেছে। এর জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে আলাদা ফি আদায় করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গ্রাহকদের ভোগান্তি কমাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই অবস্থার উন্নতি ঘটবে।’

২০১৭ সালের ৭ মে, প্রেসিডেন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ অধিদফতর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করে। সেই নীতিমালা অনুযায়ী গ্রাহকরা প্রতি প্রিপেইড মিটারের জন্য মাসে ৪০ টাকা করে ফি দিচ্ছেন। আর তিন স্তরের মিটারের জন্য এই খরচ ২৫০ টাকা। এছাড়া, ইলেকট্রিক বিল ও ভ্যাট তো থাকছেই। তবে নতুন মিটারের দাম গ্রাহকদের জানতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রতি মাসের মোট টাকার সঙ্গে ওটা যোগ করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, গ্রাহকরা আগে কেনা তাদের পোস্ট পেইড মিটারগুলো ফেরত পাচ্ছেন না। অথচ সেগুলোর জন্যও আগে টাকা দিয়েছিলেন তারা।

মিটারের জন্য যেভাবে আবেদন করবেন

বর্তমানে পোস্ট পেইড মিটার ব্যবহারের জন্য দুটি আবেদন প্রক্রিয়া রয়েছে। প্রথমত, গ্রাহককে একটি ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতির দোকান থেকে মিটার কিনতে হবে এবং সেটি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বা এজেন্সি থেকে ভেরিফাই করে নিতে হবে।

অথবা গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বা এজেন্সি থেকে সরাসরি কোনও মিটার কিনতে হবে। এতে করে মাসিক একটি ফি দিতে হবে তাকে।

দ্বিতীয় প্রক্রিয়াটি এখন শুধু প্রিপেইড মিটারের ক্ষেত্রেই অনুসরণ করা হচ্ছে। আর বিদ্যুৎ অধিদফতর চাইছে, প্রথম প্রক্রিয়াটিও যেন গ্রাহকদের কাছে পরিচিত হয়। এজন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে মিটার বিক্রির অনুমতি দিতে যাচ্ছে তারা।

স্বাভাবিকভাবে মিটার পরিবর্তনের বিষয়টি গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করছে। কারণ, এজেন্সিগুলো মিটার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় দফায়  গ্রাহকদের  কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে।

ঢাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, যদি রিটেইল শপে বিদ্যুতের মিটারগুলো পাওয়া যায়, তবে গ্রাহক ও এজেন্সি সবার জন্যই ভালো হতো।

অতিরিক্ত ফি ও ডিপোজিট

বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ভাড়া বাসায় থাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে ইলেকট্রিক বিলের সঙ্গে মাসিক ফি নিয়ে নিচ্ছেন। অথচ এই ফি দেওয়ার কথা ছিল বাড়িওয়ালাদের।

ভাড়া থাকা মো. আসিফ ইসলাম বলেন, ‘প্রত্যেকবার রিচার্জের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহকারীরা প্রতি মাসে ৪০ টাকা কেটে নেয়। এটা বাড়িওয়ালার দেওয়ার কথা ছিল। নতুন প্রিপেইড মিটার লাগানোর সময়ও বাড়িওয়ালাকে আলাদা কোনও টাকা দিতে হয়নি। দিয়েছি আমরা। ’

পোস্ট পেইড মিটার ব্যবহারকারীরা এখন তাদের আগের মিটার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর বালাদেশে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারীদের ডিপোজিটের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে এজেন্সিগুলো এখনও নিশ্চিত নয়, কিভাবে তারা গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেবে।

কমিশন স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে যে, যারা নতুন প্রিপেইড সংযোগ নেবে, তাদের কাউকেই ডিপোজিট করতে হবে না। আর যারা পোস্ট পেইড মিটার বদলি করে প্রিপেইড মিটার নিচ্ছে, তারা পোস্ট পেইডের ডিপোজিট ফেরত পাবে। কমিশন আরও জানায়, যে গ্রাহকরা এককালীন দাম দিয়ে মিটার কিনে নিতে সক্ষম, তাদের মাসিক কোনও কিস্তি দিতে হবে না।

 

গ্রাহকদের সমস্যা মেটাতে পদক্ষেপ

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. কাউসার আমির আলীকে প্রধান করে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। গ্রাহকদের অভিযোগ শুনে কিভাবে এই সেবার মান বাড়ানো যায়, সেই বিষয়টি দেখবে এই কমিটি।

বিদ্যুৎ সরবরাহকারী এজেন্সিগুলোর সঙ্গে কথা বলে ইতোমধ্যে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে তারা। প্রকৌশলী মো. কাউসার আমির আলী বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছি। আরেকটি ভেন্ডিং মেশিন তৈরিরও অনুরোধ জানিয়েছি। এতে করে গ্রাহকরা আরও  উন্নত মানের সেবা পাবেন।’

যা বলছেন কর্মকর্তারা 

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান বলেন, ‘প্রিপেইড মিটার বসানোর ফলে সিস্টেম লস অনেক কমে গেছে এবং গ্রাহকসেবা উন্নত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, চলতি অর্থবছরে আরও তিন লাখ গ্রাহক প্রিপেইড বিদ্যুৎ ব্যবহার শুরু করবেন।’

প্রিপেইড মিটারের ফলে কেউ এটা নিয়ে অসৎ কাজ বা বিল ফাঁকি দিতে পারবে না বলেও দাবি করেন তিনি। গ্রাহকদের অভিযোগ নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, ব্যাংক ছাড়াও এখন যেকোনও জায়গা থেকে গ্রাহকরা রিচার্জ করতে পারছেন। একদম মোবাইলে টাকা রিচার্জ করার মতো।’

তিনি বলেন, ‘‘ছুটির দিনে বিদ্যুৎ শেষ হয়ে গেলেও বিদ্যুৎ চলে যাবে না। ‘হ্যাপি আওয়ার’ সুবিধার আওতায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন তারা।’’

অন্যদিকে, পিডিবির জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন, উদ্ভূত সব সমস্যার সমাধানে কাজ করছেন তারা। পোস্ট পেইড মিটারকে প্রিপেইডে রূপান্তর করা গ্রাহকরা যেন মিটার ফিরে পান, সেই চেষ্টাও করছে তার নেতৃত্বাধীন কমিটি।

তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, কিভাবে গ্রাহকদের ডিপোজিটের টাকা ফেরত দেওয়া যায়।’ এই বিষয়ে কিছু পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেছেন, ‘আমরা ২০২১ সালের মধ্যে দুই কোটি মানুষকে প্রিপেইড বিদ্যুৎ সেবার আওতায় আনবো।’

সৌজন্য: ঢাকা ট্রিবিউন

লক্ষ্মীপুর নিউজ আরও সংবাদ

রামগতিতে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

সাংবাদিক জিয়া চৌধুরীর বাবা মাহাবুবের রহমান আর বেঁচে নেই

রামগতিতে আদালতের স্থিতাবস্থা মানছেন না অবৈধ ইটভাটার মালিকপক্ষ

গরমের শুরুতে রামগতিতে ভয়াবহ লোডশেডিং, ভোগান্তিতে উপকূলের গ্রাহক

রামগতিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৮ পরিবারের বসতঘর পুড়ে ছাই

কমলনগরে চার্টার্ড লাইফের মৃত্যু বীমা দাবি চেক হস্তান্তর

লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে অনলাইন নিউজপোর্টাল প্রকাশনার নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত, তারিখ: 9/12/2015  
 All Rights Reserved : Lakshmipur24 ©2012- 2024
Editor & Publisher: Sana Ullah Sanu
Ratan Plaza(3rd Floor), ChakBazar, Lakshmipur, Bangladesh.
Ph:+8801794822222, WhatsApp , email: news@lakshmipur24.com