নিজস্ব প্রতিনিধি: পূর্বঘোষণা ছাড়াই মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে সারা দেশে চলা অনিদিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ২য় দিন বুধবার সকাল থেকে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের বেশ কিছু জায়গা, সদর, রামগঞ্জ, রায়পুর এবং রামগতিতে সিএনজি, সুজুকি এবং অটোরিকসায় যাতায়াতকারি অনেক যাত্রীকে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্মঘটকারিরা এসএসসি পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজের কর্মকর্তাদের কে ও পথে পথে বাধাঁ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা। শ্রমিকদের এ ধরনের আচরণ কে নৈরাজ্য বলে দাবি করেছেন কমলনগর উপজেলার একজন স্কুল শিক্ষক। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১০টা মাঝে এ সকল অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে বেলা ১০টার পর বেশ কিছু সিএনজি চলাচল করতে দেখা গেছে।
তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের মৃত্যুর জন্য যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া বাগেরহাটের বাসচালক জামির হোসেন এবং সাভারে ট্রাকচাপা দিয়ে এক নারীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ট্রাকচালক মীর হোসেনের মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিক ইউনিয়ন। সোমবার গভীর রাতে এ সিদ্ধান্তের পর সকাল থেকে পরিবহন ধর্মঘট পালন করছে শ্রমিকরা।
এদিকে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে হঠাৎ অনিদিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের কারনে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে দূরপাল্লার যাত্রীরা। ফলে লক্ষ্মীপুর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি উপজেলায় সকল ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিবহন ধর্মঘটের কারনে লক্ষ্মীপুর বাসষ্টান্ডসহ সকল উপজেলার সকল ষ্ট্যান্ড থেকে বাস, ট্রাক, চলাচল বন্ধ রয়েছ।তবে সিএনজি এবং লেগুনা চলা অব্যাহত রয়েছে।
বাস ষ্ট্যান্ডগুলো ঘুরে দেখা যায় শত শত যাত্রী ষ্টেশনগুলোতে অপেক্ষা করেও গাড়ি না পেয়ে রিক্সায়,পায়ে হেঁটে বা বিকল্প পদ্ধতিতে গন্তব্য স্থানে যাত্রা করছে। এ সুযোগে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে রিক্সা চালকরা। ঢাকা-রায়পুর বাস মালিক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তানভীর হায়দার চৌধুরী রিংকু বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে পরিবহন ধর্মঘট চলছে। পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা শান্তিপূর্ন ভাবে পালন করছেন। জেলার প্রধান বাস টার্মিনাল থেকে দূর-পাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি। তবে লক্ষ্মীপুর-ভোলা রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক।
0Share