নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামি কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই লক্ষ্মীপুরের জেলার ৪টি উপজেলা ও ২টি থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে ২১ জানুয়ারি দুপুর ২টায় জেলা আওয়ামী লীগের জনসভা পরে সন্ধ্যা ৬টায় কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভার মাধ্যমে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া

হবে বলে জেলা আওয়ামীলীগ সূত্রে জানা যায়।

এদিকে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে গিরে চলছে নানা আলোচনা। আগামি দিনে আওয়ামী রাজনীতির শীর্ষ পদে নেতেৃত্ব পাচ্ছেন কারা? এ প্রশ্ন এখন সর্বমহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। কারন যোগ্যে ব্যক্তি ব্যতিরেকে অযোগ্য ও হাইব্রিডদের ঠাঁই হলে তা’হবে আ.লীগের জন্য আত্মঘাতীর সামিল। সম্মেলনকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে পদ প্রত্যাশীদের দৌড়-ঝাপ। এখানে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক ব্যক্তির নাম শুনা গেলেও সাধারণ সম্পাদক পদে কর্মী বান্ধব এড. রহমত উল্যাহ বিপ্লব ব্যাপক প্রচার প্রচারণায় আলোচনার শীর্ষে রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েক জন সভাপতি/সম্পাদক ও কাউন্সিলর জানান, সাবেক ছাত্রনেতা ও বিশিষ্ঠ আইনজীবি এড. রহমত উল্যা বিপ্লব সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হলে আর কোন নতুন মূখ খঁজতে হবেনা এই পদে। কারণ বিগত দিনে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথে থেকে নেতা-কর্মীদের মনে উৎসাহ যুগিয়েছেন এড. রহমত উল্যা বিপ্লব। তিনি কেবল একজন রাজনৈতিক নেতাই নন। তিনি একজন আইনজীবী, সাংবাদিক, সমাজসেবক, দক্ষ সংগঠক ও পরোপকারী। একজন দক্ষ রাজনৈতিকের আসলে যা গুন থাকতে হয় তার সম্পুর্ন প্রতিফলনই রয়েছে এডভোকেট রহমত উল্যাহ বিপ্লব এর মাঝে। গনমানুষের আস্থা অর্জন করা এ নেতা ভালোবাসার পরম মমতায় নির্যাতিত, নিপড়িত নেতা-কর্মীদের কাছে টেনে নেন। নেতা-কর্মীদের দুঃখে ব্যাথিত হন, কষ্ট পান তাদের দুর্দশায়।

এডভোকেট রহমত উল্যাহ বিপ্লব ছাত্রাবস্থায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক, লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক, ঢাকা আইডিয়াল ল’ কলেজে অধ্যয়নকালীন সময় আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। এর পর লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক বর্তমানে ১৪ দলীয় জোট চন্দ্রগঞ্জ থানার যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে একজন সু-বক্তা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথের কর্মী হিসেবে স্বচ্ছ রাজনীতিতে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।

রাজনৈতিক সংগঠন ছাড়াও এডভোকেট রহমত উল্যাহ বিপ্লব জেলা শহর থেকে প্রকাশিত “দৈনিক ভোরের মালঞ্চ” পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তখন জেলার সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের আজীবন সদস্য, জেলা আইনজীবি সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচিত প্রাক্তন সহ-সম্পাদক, জেলা আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের সদস্য ও লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্যানেল আইনজীবি, লক্ষ্মীপুর বাগবাড়ী ক্লাব, উত্তর জয়পুর কৃষি সমবায় সমিতিসহ সংখ্যাধিক ক্রীড়া ও সামাজিক সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন।

এড. রহমত উল্যাহ বিপ্লব লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্টার মার্কসহ এসএসসি, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ থেকে একাধিক বিষয়ে লেটার মার্কসহ প্রথম বিভাগে এইচএসসি পাশ করার পর কুমিল্লা বোর্ডের বৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্র ছিলেন। একই কলেজ থেকে বিএসএস ডিগ্রী লাভ করেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএসএস এবং ঢাকা আইডিয়াল ল’ কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করে আইনজীবি হিসেবে ঢাকা জজকোর্টে যোগদান করেন। বর্তমানে লক্ষ্মীপুর জেলা জজকোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন। স্বল্প সময়ে ফৌজদারী ওকালতিতে ব্যাপক সুনাম অর্জনে সক্ষম হন এবং দলীয় নেতাকর্মীদের স্পর্শকাতর মামলাগুলো পরিচালনা করায় আইনাঙ্গনে দলীয় কর্মীদের নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হয়ে উঠেন।

আওয়ালীগের সাংগঠনিক ভিত্তি পুর্বের যেকোনো তুলনায় এখন আরো বেশি শক্তিশালী বলে দাবি করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এতে করে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও কাউন্সিলরদের আশা, তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তরুন ও সাবেক ছাত্র নেতা থেকে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করবেন। যে নেতৃত্ব আগামী দিনে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে এবং জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনগুলোতেও ভাল ফলাফল বয়ে আনতে পারবে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে নীতিনির্ধারনী মহলের সদ্বিচ্ছার প্রয়োজন। যদি এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে, তা’ হলে নিঃসন্দেহে অত্রঅঞ্চলের অভিজ্ঞ সুধীমহল, রাজনীতিবিদগণ তাদের সাধুবাদ জানাবেন। সর্বোপরি জেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতি সুযোগ্য ব্যক্তিদের নেতৃত্বে সর্বমহলে প্রশংসিত এ দ্বারা অব্যাহত রাখতে, নবগঠিত চন্দ্রগঞ্জ থানা কমিটিতে যোগ্য নেতাদের আর্বিভাব হলে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিনির্মানের পদযাত্রায় আরো ফলপ্রসূ হবে, এমনটাই প্রত্যাশা করে আওয়ামী পরিবারসহ সবস্তরের চন্দ্রগঞ্জ থানাবাসী।