নিজস্ব প্রতিনিধি: সহসাই নির্বাচনী সীমানা পূনর্বিন্যাস করে নতুন গেজেট প্রকাশ করে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ইসির নীতিমালায় আসন পরিবর্তন কোন ভাবেই এক জেলার অংশ অন্য জেলায় যুক্ত করা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং অখন্ডিত উপজেলা হিসেবেই সীমানা পুননির্ধারিত হবে। অর্থাৎ এক উপজেলার সাথে অন্য উপজেলার অংশ যোগ করে কোন সংসদীয় আসন থাকতে পারবে না। ইসির এই আইন কার্যকর হলে ব্যপক পরিবর্তন ঘটবে লক্ষ্মীপুর-২ তথা রায়পুর আসনে। সেক্ষেত্রে শুধু মাত্র রায়পুর উপজেলাকে নিয়েই ঘটিত হবে লক্ষ্মীপুর-২ রায়পুর আসন। লক্ষ্মীপুর টোয়েন্টিফোরকে এমন তথ্যই জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম। গত ১ আগষ্ট লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোরে প্রকাশিত ‘ লক্ষ্মীপুর-২ রায়পুর আসনে সীমানা পুননির্ধান জরুরী সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই তা নির্বাচন কমিশনের নজরে আসে। নির্বাচন কমিশন যে অর্ধশতাধিক সংসদীয় আসনে সীমানা পুননির্ধারন করবে তার মধ্যে লক্ষ্মীপুর-২ এবং লক্ষ্মীপুর-৩ আসন রয়েছে তালিকার শীর্ষে।
প্রশাসনিক এই পরিবর্তন কার্যকর হলে সীমানা পুননির্ধারনের পাশাপাশি এই আসনের রাজনীতিতে ঘটবে বড় পরিবর্তন। অতীতে বিএনপির দুর্গ খ্যাত এই আসনটি বিএনপির হাত ছাড়া হবার সমুহ সম্ভাবনা তৈরি হবে। বিপরীতে এখানে আওয়ামীলীগ, বিএনপি আর জামাতের ত্রিমুখী লড়াইয়ের একটা সুস্পষ্ট ইঙ্গিত তৈরি হবে এমনটাই আশা করছেন রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহল।
আওয়ামীলীগের অনেক প্রার্থী থাকলেও আওয়ামীলীগ নেতা হারুনুর রশীদ রায়পুরের সন্তান। রাজনীতিতে তার ব্যক্তি ইমেজ ভালো। সেই হিসেবে আওয়ামীলীগ থেকে তিনি মনোনয়ন পেলে জামাত বিএনপির লড়াইয়ে তিনি জিতে আসতে পারেন বলে জানিয়েছেন রাজনীতি সংশ্লিষ্ট মহল। আবার চালে ব্যতিক্রম হলে বিএনপির চেয়ে জামাত প্রার্থীর জিতে আসার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে ধারণা অনেকের। অবশ্য জোটবদ্ধ নির্বাচন এবং দলীয় প্রার্থী বিবেচনায় নির্বাচন হলে এই সমীকরণে কিছুটা পরিবর্তনও ঘটতে পারে।
অন্যদিকে জামায়াতের দায়িত্বশীল একটি সুত্র জানিয়েছেন আইনি পক্রিয়ায় ঠিক থাকলে এই আসনে তারা বিএনপিকে ছাড় দেবে না। প্রয়োজনে আলাদা ইলেকশন করবে। সেই ক্ষেত্রে তাদের প্রার্থী জামায়াত নেতা মাহমুদুর রহমান, যিনি এই সংসদীয় এলাকারই বাদিন্দা। শুধু রায়পুর উপজেলা নিয়ে সংসদীয় আসন গঠিত হলে জামাতের বর্তমান প্রার্থী মাষ্টার রুহুল আমিনের ইলেকশন করার সম্ভাবনা নেই, কারন তিনি এই এলাকার বাসিন্দা নন।অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আবুল খায়ের ভুইয়া নিশ্চিত বলেই জানা যায়। তবে তিনি রায়পুর উপজেলার বাসিন্দা নন।
সুতরাং রায়পুরের নতুন সীমানার সাথে সাথে রাজনীতির মাঠেও তৈরি হবে নতুন সীমানা।
0Share