ডেস্ক: সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে এ মুহূর্তে নারী শ্রমিক ছাড়া অন্য কোন শ্রমিক নিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, সে দেশে কর্মী
যাওয়ার জন্য নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়নি, সরকার কোন নিবন্ধন করেনি; আর করছেও না। তবে সৌদি আরব থেকে ডিমান্ড (চাহিদা) আসলে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি।
(খবরটি দিয়েছে দৈনিক সংবাদ-১৮/০২/১৫)
সংবাদ জানায়, বুধবার রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সম্মেলন কেন্দ্রে সৌদি আরবে লোক পাঠানো নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব খন্দকার ইফতেখার হায়দার ও বিএমইটির মহাপরিচালক বেগম শামসুন নাহার উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ এ মুহূর্তে সৌদি আরবে শুধু নারী শ্রমিক পাঠাতে পারবে। সৌদি সরকার বিনা খরচে সর্বনিম্ন ৮০০ রিয়াল বেতনে নারী শ্রমিক নেবে। আর অন্যান্য ক্ষেত্রে লোক নেয়ার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
সৌদি আরব তাদের চাহিদাপত্র পাঠালে যেকোন দেশের জন্য নিবন্ধনকৃতদের মধ্য থেকে বাছাই করে লোক পাঠানো হবে। প্রয়োজনে ফের নিবন্ধনের ঘোষণা দেয়া হবে।
তিনি বলেন, সৌদি আরবে যাওয়ার সময়সীমা নেই। সৌদি আরবে যেসব গৃহকর্মী যাবে, তাদের আলাদা নিবন্ধন করতে হবে। তবে এখনও নিবন্ধন প্রক্রিয়া সরকার চালু করেনি।
সাধারণ নিবন্ধন প্রক্রিয়াই চলছে। কখনও বলা হয়নি সৌদি আরবের জন্য রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। আগামী দুই একদিনের মধ্যে ডেটাবেজ পর্যবেক্ষণ করে শুধু নারী কর্মীদের জন্য নিবন্ধন চালু করা হতে পারে।
এছাড়া নিবন্ধনের বাইরে কেউ বাংলাদেশ থেকে পৃথিবীর কোন দেশে কাজের জন্য যেতে পারবে না বলেও সতর্ক করেন তিনি।
সৌদি আররে যেতে ইচ্ছুকদের নিবন্ধনের তথ্য জানিয়ে পত্রিকায় জনশক্তি রপ্তানি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) বিজ্ঞাপন দিয়েছে কেন এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞপ্তিতে তো শুধু সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য নাম নিবন্ধনের কথা বলা হয়নি।
বলা হয়েছিল সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশের কথা। সৌদি আরবের প্রতিনিধি দল যখন বাংলাদেশ সফরে আসে তখনই ডিজিটাল মেলা শুরু হয়। মেলা উপলক্ষে সাময়িক একটি প্যাভিলিয়ন খোলে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। যেখানে সব দেশের জন্যই নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হয়।
তবে মানুষ দুটি বিষয়কে একত্র করে ভুলে সৌদির জন্য নিবন্ধনের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। তবে মূল কথা হলো সরকার সৌদির জন্য কোন নিবন্ধন করেনি। নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। জেলা জনশক্তি অফিস, বিএমইটি, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল অফিসে সব সময়ই যেকোন দেশের জন্য এ নিবন্ধন করা যাবে। সৌদির জন্য আলাদা কিছু করার দরকার নেই। এই মুহূর্তে অনলাইনে নিবন্ধন প্রক্রিয়া বন্ধ আছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তিতে আমরা নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছি। এ ব্যাপারে সৌদির দূতাবাসে হটলাইন খোলা হবে। যে কেউ যেকোন সময় দূতাবাসের সাহায্য নিতে পারবেন।
তথ্য সূত্র:দৈনিক সংবাদ (১৮/০২/১৫)
0Share