নিজস্ব প্রতিনিধি: নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। নিহতরা হলেন- উপজেলার কেশারখিল গ্রামের সাতানি ভূঁইয়া বাড়ির রফিক জামান রিমু, তার স্ত্রী ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সমন্বয়ক সানজিদা হক বিপাশা এবং তাদের সাত বছর বয়সী একমাত্র ছেলে অনিরুদ্ধ। মঙ্গলবার বিকালে কথা হয় নিহতদের স্বজন ফারজানা রিপার সাথে। তিনি জানান, তার চাচা রফিক জামান রিমু, চাচি সানজিদা ও চাচাত ভাই অনিরুদ্ধের লাশ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে। ইতোমধ্যে তিনটি কবরও খোঁড়া হয়েছে। লাশ বাংলাদেশে আসার পর গ্রামের বাড়িতে আনা হবে। এলাকাবাসী জানায়, রফিক জামান পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার ধানমন্ডির কলাবাগানে বসবাস করে আসছিলেন। তিনি এবং তার স্ত্রী খুব পরিশ্রমী ছিলেন। কাজের পাশাপাশি যুক্ত ছিলেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক-সামাজিক নানা সংগঠনের সাথে।
তারা বন্ধুমহল ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে রিমু-বিপাশা নামে পরিচিত ছিলেন। রফিক জামান রিমু ও সানজিদা হক বিপাশা দু’জনই পড়াশোনা করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সাথে। রিমু প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করতেন। কর্মরত ছিলেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। আর সানজিদা সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করতেন সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন’-এ। সুজন-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার জানান, সানজিদা ছিল খুবই কর্মঠ ও দায়িত্বশীল। ছুটি নেয়ার সময় সানজিদা ভাবছিল অফিসের কাজে কোন অসুবিধা হয়ে যায় কিনা। আমরাই বরং চেয়েছিলাম সে ছুটি নিয়ে ঘুরে আসুক। কিন্তু এইভাবে তাকে হারাব এটা কল্পানায়ও ছিল না।
0Share