বিডিনিউজ: ‘খাদ্যবান্ধব’ কর্মসূচির আওতায় দেশের ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকালে কুড়িগ্রামের চিলমারী থানাহাট এ ইউ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সুধী সমাবেশে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশে কোনো মানুষ যেন দরিদ্র না থাকে… বাংলাদেশ উন্নত হবে, সমৃদ্ধ হবে- সে লক্ষ্যে আমরা এই কর্মসূচি চালু করেছি।”শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ এই- স্লোগানে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে হতদরিদ্রদের মাঝে বছরে সাড়ে সাত লাখ টন চাল বিতরণ করা হবে।
হতদরিদ্র ৫০ লাখ পরিবার মার্চ, এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর- এই পাঁচ মাস এই সুবিধা পাবে। ১০ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি পর্যন্ত চাল কিনতে পারবে তারা। নারী, বিধবা ও প্রতিবন্ধী নারী প্রধান পরিবারকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে এ কর্মসূচিতে।
এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট কমিটি প্রতি ৫০০ পরিবারের জন্য একজন করে ডিলার নিয়োগ দিচ্ছে। আর সুবিধাভোগী প্রত্যেক পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে একটি করে কার্ড। সেই কার্ড তুলে দিয়েই কর্মসূচির সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, “একটা মানুষ কষ্টে থাকবে না, একটা মানুষ না খেয়ে থাকবে না, একটা মানুষ গৃহহীন থাকবে না। বন্যায় যাদের ঘরবাড়ি গেছে তাদেরটা তৈরি করে দেওয়ার কথা বলেছি জেলা প্রশাসনকে।” মানুষের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজনীতি করি কাদের জন্য? আপনাদের জন্য। দেশের মানুষ যেন কষ্টে না থাকে সেজন্য।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আমার একটা প্রতিজ্ঞা ছিল… সুযোগ পেলে বাংলাদেশের মানুষের ক্ষুধা-দারিদ্র দূর করার জন্য কাজ করব। তাতে জাতির পিতার আত্মা শান্তি পাবে।“আমরা দুঃস্থদের সাহায্য দিচ্ছি। কিন্তু দুঃস্থ মানুষ, দুঃস্থ থাকুন সেটা আমরা আর চাই না। সেটা থেকে মুক্ত মিলছে এখন।”
তিনি জানান, সরকার প্রতি কিলোগ্রাম চালে ২৭ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। সরকারকে মোট দুই হাজার ১০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, “হতদরিদ্রদের মাঝে বছরে পাঁচ মাস এই চাল দেওয়া হবে। যখন কাজের একটু অভাব থাকে তখন।”কোনো রকম ‘ভুল-ত্রুটি ছাড়া’ চালিয়ে নেওয়া গেলে সামাজিক নিরাপত্তার এই নতুন কর্মসূচি সফল হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিডিনিউজের সৌজন্যে
0Share