আদালত প্রতিবেদকঃ ‘‘সরকারী আইনী সেবার সাফল্য এবং বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি’’ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা সোমবার বিকাল ৩ টায় জেলা জজ কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ও দায়রা জজ ড. এ কে এম আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চায়ন করেন সিনিয়র সহকারী জজ ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মোঃ নূরু মিয়া।

সরকারী আইনি সেবার মানোন্নয়নে সহায়তা প্রদান’ প্রকল্পের আওতায় সরকারী আইনী সহায়তা কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত জনবলকে মামলা জট নিরসনে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি কার্যক্রমের মানোন্নয়ন বিষয়ক পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্থানীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের অংশ হিসাবে উক্ত কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কর্মশালায় অংশ নেন চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ও জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক, প্যানেল আইনজীবি, কারা রক্ষক, জেলা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক, জেলা তথ্য কর্মকর্তা, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান, বেসকারী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।

কর্মশালায় প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন এ্যাডভোকেট হাসান আল মাহমুদ, বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধি নূর মোহাম্মদ, আসাদুজ্জামান চৌধুরী ও ফারুক আহমেদ প্রমুখ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কর্মশালয় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে মধ্যস্থতাকারীর করনীয়, বিচার প্রার্থীর দৃষ্টি ভঙ্গি, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় বিচার প্রার্থীর চাওয়া-পাওয়া, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় বিরোধীয় বিষয়ে সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে জোর দেওয়া হয়। বিরোধ হলে শুধু মামলা নয়, লিগ্যাল এইড অফিসে আপোষও হয়, এই বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতেই বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি কার্যক্রম চালু করা হয়।

পক্ষদ্বয়ের সম্মতিতে ও আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি করা যায়। এতে খরচ ও সময় উভয় সাশ্রয় হয়। কোন আবেদনকারী আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে সম্মত হলে লিগ্যাল এইড অফিসার আপোষ-মিমাংসার উদ্যোগ গ্রহন করেন। বিষয়টি অপর পক্ষকে নোটিশের মাধ্যমে অবহিত করে নির্দিষ্ট তারিখ, সময় ও স্থান উল্লেখ পুর্বক অপর পক্ষের লিখিত সম্মতি গ্রহণ করিবেন। এইভাবে পক্ষ দ্বয়ের সম্মতিতে কম সময়ে ও কম খরচে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি করা যায়। যে কোন দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা সংশ্লিষ্ট লিগ্যাল এইড অফিসারের সম্মতিতে আপোষ-মিমাংসার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা যায়।

কর্মশালা শেষে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান এবং জেলা ও দায়রা জজ ড. এ কে এম আবুল কাশেম অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন।