নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে জমি সংত্রুান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সন্ত্রীদের হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় সন্ত্রীদের হামলায় রিপন, জান্নাতুন নাহার, আসমা আক্তার ও রাব্বিসহ ৫জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ও শনিবার সকালে সদর উপজেলার মতলবপুর এলাকার গনু সদ্দার বাড়িতে। এদিকে গতকাল রোববার দুপুরে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ক্ষতিগ্রস্ত ওমর ফারুক রিপন বাদী হয়ে ৭জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এর আগে ৭জনকে আসামী করে সদর থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করেন জান্নাতুর নাহার।
ক্ষতিগ্রস্ত ও এলাকাবাসী জানায়, সদর উপজেলার মতলবপুর এলাকার গনু সর্দ্দার বাড়ির খোরশেদ আলম ও একই বাড়ির মোহাম্মদ উল্যাহ মহুরির সাথে দীর্ঘদিন ধরে এক খন্ড জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত ১২ সেপটেম্বর সন্ধ্যায় জমির মালিক খোরশেদ আলমের মেয়ে আসমা আক্তার শান্তা বসত ঘর করার জন্য ইট, বালু, রড সিমেন্টসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়া আসে। এ সময় মোহাম্মদ উল্যাহ মহুরির ছেলে সন্ত্রাসী রাসেল ও কামরুলের নেতৃত্বে ১৫/২০জনের একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে খোরশেদ আলম ও তার ছেলে রিপন,রাব্বিসহ পরিবারের অন্যদের মাধর করে। পরের দিন সকালে শ্রমিক নিয়ে ঘরের কাজ শুরু করলে একই কায়দায় রাসেল ও কামরুলের নেতৃত্বে ২০/৩০ জনের একদল সন্ত্রাসী পুনরায় হামলা চালায়। এসময় ভাংচুর করে এবং ইট বালুসহ মালামাল গাড়িতে উঠে লুট করে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের হামলায় নারী-পুরুষসহ ৫জন আহত হয়। আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আসমা আক্তার শান্তা অভিযোগ কওে সাংবাদিকদের জানান, মোহাম্মদ উল্যাহ কোর্টে মহেুারার হওয়ার সুবাদে আমার স্বামী সালাহউদ্দিনসহ বাবা-মা ভাই ও বোনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। এছাড়া আমাদের বসত বাড়ি দখল করার পায়তারা করছে। সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকি-ধুমকির ভয়ে আতংকে আছি। এ দিকে একটি বিশ^স্ত সূত্রে জানায়, মোহাম্মদ উল্যাহ মহুরি, ছেলে কামরুল ও রাসেলকে দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় দখল বানিজ্য. সন্ত্রাসী চাঁদাবাজীসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের নানান হয়রানীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। সম্প্রতি একই কায়দায় মোখলেছুর রহমানের দখলকৃত ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে তারা। এ বিষয়ে মোহামম্মদ উল্যাহ ও তার ছেলেদের সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জনান,ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
0Share