নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের ভবানিগঞ্জে তৈয়বা খাতুনের অপচিকিৎসায় গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫ বছরের শিশু। চিকিৎসক না হয়ে চিকিৎসক সেজে তৈয়বা খাতুন । তার অপচিকিৎসার ক্ষতিগ্রস্থদের এমন অভিযোগে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। পরে মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে অপচিকিৎসক তৈয়বা খাতুকে হাজির করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোহাম্মদ নুরুজ্জামান কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভ্রাম্যমান আদালতে ভুয়া চিকিৎসক তৈয়বা খাতুন তার নিজেদের দোষ স্বীকার আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন ।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোহাম্মদ নুরুজ্জামান অপচিকিৎসক তৈয়বা খাতুনকে সরকারি কোষাগারের জন্য ২ লাখ টাকা জরিমানা ও ভুল চিকিৎসায় ক্ষতিগ্রস্থ শিশু আরজুর চিকিৎসা বাবদ ৫০ হাজার টাকসহ আড়াই লক্ষ টাকা অর্থদন্ড রায় প্রদান করেন। সে সাথে তৈয়বা বাড়ীতে বসে চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেয়া হয় রায়ে। পরে তৈয়বার বড় ছেলে সকলের উপস্থিতিতে শিশুটির চিকিৎসা বাবদ ৫০ হাজার টাকা শিশু আরজুর পিতা আজাদের নিকট প্রদান করেন।
নিবার্হ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান জানান, চিকিৎসক না হয়ে ডাক্তার পরিচয় দেওয়া ও অপচিকিৎসায় এক শিশু অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় ভ্রাম্যমান আদালতে অপচিকিৎসক তৈয়বা খাতুন নিজেদের দোষ স্বীকার আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে। পরে আদালত শিশুটির চিকিৎসা বাবদ ৫০ হাজার টাকাসহ সরকারি কোষাগারে ২ লক্ষ টাকাসহ আড়াই লাখ টাকা অর্থদন্ড করা হয়। অপচিকিৎসক বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
0Share