রায়পুর প্রতিনিধি: রায়পুরে ভেজাল খাদ্য বিক্রি ও মূল্যতালিকা না থাকায় ভ্রাম্যমান আদালত ৫ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা ও ৪ বস্তা পঁচা খাদ্য নদীতে ফেলে বিনষ্ট করেছেন। প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা আদালতের বিরুদ্ধে শহরে বিক্ষোভ করেছে। তবে ভেজাল বিরোধী অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ এবং নিয়িমিত এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখার দাবিও করেছেন তারা।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে ভেজাল বিরোধী ভ্রাম্যামান আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ শামীম হোসেন। পরে পুলিশ এসে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, অভিযান চলাকালে রায়পুর শহরের মধ্য বাজারে অবস্থিত ৫টি মুদি দোকানে জরিমানা আদায় করা হয়। জরিমানকৃত মুদী দোকানগুলো হলো বিপ্লবপাল ষ্টোর থেকে ১৫ হাজার টাকা, আলমগীর ষ্টোর ২০ হাজার টাকা, শাহীন ষ্টোর ১৫ হাজার, আলম ষ্টোর ৫ হাজার, মোট ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এ সময় আব্দুর রাজ্জাকের মুদী দোকান ১০ হাজার টাকা আদায় করতে গেলে তার নেতৃত্বে ব্যবসায়ীরা আন্দোলন করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান সঠিক। কিন্তু এর জন্য দায়ী ২০ বছরের পুরাতন ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা। ১৯৮৮ সালের পর থেকে এ বাজারে কোন নির্বাচন হচ্ছেনা দুই নেতার কারনে। আমারা সহসাই প্রশাসনের সহযোগীতায় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাজার পরিচালনা কমিটি নির্বাচন চাই।
রায়পুর থানার ওসি মোঃ লোকমান হোসেন বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতকে শুধু পুলিশ সহযোগীতা করে থাকেন। ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের সংবাদ পেয়ে পরিস্থিত শান্ত করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ শামীম হোসেন বলেন, ভোক্তা অধিকার ও শিশু খাদ্য আইনে মুদী দোকানগুলো থেকে জরিমানা আদায় করা হয়। আমাদের ভেজাল বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
0Share