রামগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ আদালতের নির্দেশে রামগঞ্জ উপজেলাব্যাপি মুক্তিযোদ্ধা যাছাই বাছাই প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (২০ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু ইউসুফের কাছে পৌছলে ওই সংক্রান্ত সকল প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেন। মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল নুর-নবী বীর বিক্রম গত ১৬ ফেব্রুয়ারী বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে উচ্চ আদালতে (হাইকোর্ট) রামগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা যাছাই বাছাই প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে একটি রীট(নম্বর ২২০০/২০১৭) করলে আদালত তা তিনমাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারী) মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের উপসচিব মাহাবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্র জারি করা হয়। যার কপি রামগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল ও যাছাই বাছাই কমিটির সভাপতি সাবেক সাংসদ এম এ গোফরানকেও দেয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, রামগঞ্জ উপজেলায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা গঠন কল্পে সারাদেশের মতো যাছাই বাছাই প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু একটি মহল কৌশলে বিভিন্ন লোকদের প্রলোভন দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা না হওয়া সত্ত্বেও মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকাভূক্ত করার আশ্বাস দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
যারা টাকা দিতে পারছেন, তাদেরকেই আশ্বাস প্রদান করা হচ্ছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার হট্টোগোল হয়েছে। কয়েকজন অভিযোগ করেন, ওয়েবসাইট থেকে একটি ফরম বের করে এক শ্রেণীর দালাল তাদের নাম ঠিকানা পূরন করে তালিকাভূক্ত করার নামে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছেন।
এছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাক্ষর সম্বলিত মুক্তিযোদ্ধা সনদপ্রাপ্ত কয়েকজনকে স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও মুক্তিযোদ্ধার সম্মান দেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কমিটির সভাপতি সাবেক সাংসদ এম এ গোফরান জানান, জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের টেবিলে ৯ নম্বর ভোলাকোট ইউপিতে যাছাই পর্বে প্রায় অর্ধশত লোকের ইন্টারভিউ নেয়া হলেও মাত্র ২জন ও ১০ নম্বর ভোলাকোট ইউপিতেও মাত্র একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে মনোনিত হয়েছেন।
এসব ঘটনায় যারা পূর্বে বিভিন্ন লোকদের থেকে সুবিধা গ্রহন করেছেন তারাই ষড়যন্ত্র করে যাছাই বাছাই প্রক্রিয়া স্থগিত করেছেন নুর-নবী সাহেবের মতো একজন ভদ্রলোককে সামনে রেখে।
রামগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার জানান, আমরা আজ মুক্তিযোদ্ধা যাছাই বাছাই প্রক্রিয়া বন্দ রাখার ব্যাপারে একটি চিঠি মন্ত্রনালয় থেকে পেয়েছি। এতে করে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনি আরো জানান, কর্ণেল নুরনবী বীর বিক্রম একজন ভালো মানুষ, তিনি গ্রামে যান না। কেউ উনাকে ভুল বুঝিয়ে রীটটি করিয়েছে।
0Share