নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী মেহরুন নেছাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সৈয়দ আল মামুন নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এদিকে দাবীকৃত যৌতুকের টাকা না পেয়ে বিবাহ বিচ্ছেদর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন ওই কর্মকর্তা। বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে ক্ষতিগ্রস্থ গৃহবধুর পরিবারের লোকজন সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন। নির্যাতিত গৃহবধু মেহরুন নেছা রামগঞ্জ উপজেলার ধর্নাপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। অভিযুক্ত মামুন একই উপজেলার আলীপুর গ্রামের মৃত- সৈয়দ আহমেদের ছেলে ও ব্র্যাক ব্যাংক এসএমই বিভাগের ফেনী’র দাগনভূঁইয়া শাখার সহকারী আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার জানায়, চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারী শিক্ষিকা মেহরুন নেছার সাথে ব্যাংক কর্মকর্তা মামুনের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। এরপর থেকে মামুন বিভিন্নভাবে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় সে বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে। সম্প্রতি টাকা দিতে অস্বীকার করলে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন ওই গৃহবধুকে মারধর করে আহত করে। পরে খবর পেয়ে গৃহবধুর পরিবারের লোকজন আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এছাড়া টাকা না পেলে বিবাহ বিচ্ছেদসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের হুমকি দিয়ে আসছে ব্যাংক কর্মকর্তা মামুন। ক্ষতিগ্রস্থ গৃহবধু বলেন, যৌতুকের টাকার জন্য বিভিন্ন সময় আমাকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমার স্বামী আমাকে টর্চ লাইট দিয়ে বেদড়ক মারধর করে। আমি এ নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ আল মামুনের মুঠোফোনে বুধবার বিকেলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোতা মিয়া জানান, যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে নির্যাতন করার বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0Share