নিজস্ব প্রতিনিধি: দুর্ঘটনা এড়াতে লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কে লেগুনা (যাত্রীবাহী ছোট পিকআপ) চলাচল বন্ধের দাবিতে কমলনগর উপজেলার কয়েকটি স্থানে মানববন্ধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকাল ১১ থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত ওই সড়কের কমলনগরের তোবারগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে, লরেন্স এলাকায়, হাজিরহাট মিল্লাত একাডেমী (উচ্চ বিদ্যালয়), হাজিরহাট উপকূল কলেজের সামনেসহ বিভিন্নস্থানে এ মানববন্ধন করা হয়। কমলনগরের সামাজিক সংগঠন- সচেতন যুবসমাজ, লক্ষ্মীপুর রোটারি ক্লাবসহ কয়েকটি সামাজিক সংগঠন এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, জন প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার কয়েক হাজার নাগরিক অংশ গ্রহন করেন। এ সময় দুর্ঘটনা রোধে সচেতনামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হাজিরহাট উপকূল কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মোতালেব, কমলনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও হাজিরহাট মিল্লাত একাডেমীর প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন, হাজিরহাট ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন ও তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফয়সল আহমেদ রতন, তোবারগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়য়ার হোসেন, চর লরেন্স উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলন, চর কালকিনি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলায়েত হোসেন, যুবদল নেতা মীর শিব্বির আহমেদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসেন নিশাদ, ইয়াসিন আরাফাত তুহিন, আবদুল হামিদ সুমন ও হাসান মাহমুদ পারভেজ। এ সময় বক্তারা রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কে যাত্রীবাহী ছোট পিকআপ লেগুনা বন্ধের দাবি জানান। এ ছাড়াও যানবাহনগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী ও বেপরোয়াগতি পরিহার করা, চলন্ত অবস্থায় চালক মোবাইলে কথা না বলা এবং লাইসেন্স ছাড়া ড্রাইভিং না করার দাবি জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত এক মাসে রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কে লেগুনা দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক বছরে প্রায় দুই শতাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে, এতে শিশু ও নারীসহ অনেক হতাহত হয়েছেন। বিগত ২ বছরে এ সড়কের প্রত্যেকটি দূর্ঘটনার সাথে লেগুনার নাম জড়িত আছে।
0Share