সব কিছু
facebook lakshmipur24.com
লক্ষ্মীপুর বৃহস্পতিবার , ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রায়পুরের দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ

রায়পুরের দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ

রায়পুরের দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ

তাবারক হোসেন আজাদ:: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর চরপলোয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার কক্ষের একটি মাত্র পাকা ভবননের প্রতিটি দেয়ালে ফাটল। ছাদ জরাজীর্ণ, ছিদ্রে ভরা। পাকা এই ভবন ১৯৮৯ সালে নির্মিত। অন্যটি দক্ষিণ পশ্চিম কেরোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার কক্ষের একটি মাত্র পাকা ভবননের প্রতিটি দেয়ালে ফাটল। তারও ছাদ জরাজীর্ণ, ছিদ্রে ভরা। পাকা এই ভবন ১৯৯০ সালে নির্মিত। উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর দু’টি প্রতিষ্ঠানেরই ভবনগুলোকে অনেক আগেই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষকেরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই পাঠদান করছেন।

অপরদিকে ২০১৭ সালে উপজেলার ১২১ টি বিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে একটি করে ল্যাপটপ এবং মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর দেয়া হয়েছে। এই দু’টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কক্ষসংকটের কারণে এসব বাক্সবন্দী। সরকার ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর দিয়েছে, কিন্তু এগুলো রাখার জন্য মাল্টিমিডিয়া কক্ষ নেই।’

উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর ঝুঁকিপূর্ণ এই ২টি বিদ্যালয়ই চিহ্নিত করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। যেকোনো সময় প্রাণহানির মতো বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উপজেলা প্রকৌশলী ও প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২টি। বিদ্যালয়গুলো হলো ১০ নং রায়পুর ইউনিয়নের চরপলোয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৬ নং কেরোয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিম কেরোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

জানতে চাইলে চরপলোয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ে পাঁচজন শিক্ষক ও ১৫০ জন শিক্ষার্থী আছেন । কার্যালয়সহ কক্ষ দরকার সাতটি। কিন্তু নিরাপদে ক্লাস নেওয়া যায় এমন পাকা কক্ষ আছে মাত্র একটি। আমাদের কার্যালয়সহ তার মধ্যেই সকল শ্রেণির পাঠদান চলছে। কক্ষ সংকটের কারণে শিশু ও প্রথম শ্রেণির ক্লাস নিতে পাশের একটি মসজিদের বারান্দায়। গত পনেরো বছর ধরে এই সমস্যা পোহাচ্ছি। কোনো সমাধান হয়নি।’

দক্ষিণ-পশ্চিম কেরোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাহিমা বেগম বলেন, এই বিদ্যালয়ে একটিই ভবন। ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি পাকা ভবনের চারটি কক্ষ গত আট বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার পরও সেখানে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। পুরো ভবনে ফাটল ধরায় এখন আর পাঠদান করা হয় না। এ কারণে শ্রেণিকক্ষের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। শিক্ষার্থীদের একই কক্ষে বেঞ্চে গাদাগাদি করে বসিয়ে পড়ানো হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে চারটি কক্ষ নির্মাণ করা দরকার। বিদ্যালয় মাঠটি অনেক নিচু হওয়ায় বর্ষাকালে পানি জমে থাকে। এ সময়ে অন্তত ছয় মাস শরীরচর্চা ও খেলাধুলা বন্ধ থাকে। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষক ৫জন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮০।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুন নাহার বেগম বলেন, এই দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষগুলোর বিষয়ে একাধিকবার সভায় আলোচনা হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৫ জুন আবারও আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে আগামী জানুয়ারি মাসের পর প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, ‘নতুন ভবন নির্মাণের বরাদ্দ আসে ওপর থেকে। আমাদের করার কিছু নেই। তবে আমিও জানি এই দুইটি বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদানের জন্য চরম কক্ষসংকট রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী আখতার হোসেন ভুইয়া বলেন, ‘ওই দু’টি বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোতে ক্লাস নেওয়ায় যেকোনো সময় প্রাণহানির মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ আধা পাকা ও পাকা ভবনগুলো নিলামের জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে একাধিক চিঠি দিয়েছি। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে দীর্ঘদিনেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। বাধ্য হয়ে গত মাসের অনুষ্ঠিত উপজেলা মাসিক সভায় বিষয়টি আলোচনায় তুলেছিলাম।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিল্পী রানী রায় বলেন, ‘যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে, তা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই কনডেমড ঘোষণা চেয়ে আমাদের জানাতে হবে। উপজেলা কনডেমড কমিটির সভাপতি হিসেবে আমি এবং সদস্যসচিব উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ অন্য সদস্যরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে তা দেখব। এরপর শিক্ষা প্রকৌশল কর্মকর্তারা সরেজমিনে দেখেশুনে জানালে তবেই সে ভবন উপজেলা কনডেমড কমিটির সভায় আলোচনা সাপেক্ষে কনডেমড ঘোষণা করে নিলামের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু ভবন ভাঙার পর কিছুতেই যেন পাঠদান ব্যাহত না হয়, সেটি আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেই নিশ্চিত করতে হবে। আমরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিষয়ে যথাযথ নির্দেশনা অনুসরণ করেই ক্রমান্বয়ে ব্যবস্থা নেব।’

শিক্ষাদীক্ষা আরও সংবাদ

লক্ষ্মীপুরের রসুলগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের পুনর্মিলনী

কমলনগরে ২০০৪ এসএসসি ব্যাচের মিলনমেলা ও ইফতার

রামগতিতে শিক্ষার্থীদের মাঝে কোডেকের স্কুল ব্যাগ বিতরণ

সোহরাওয়ার্দী কলেজে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠন

কুমিল্লা বোর্ড থেকে পাঠদানের অনুমতিসহ ইন নাম্বার পেলো তোরাবগঞ্জ কলেজ

লক্ষ্মীপুরে এক বছর মেয়াদী চারুকলা ও আইসিটি কোর্স চালু করলো আইডিয়াল প্রফেশনাল

লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে অনলাইন নিউজপোর্টাল প্রকাশনার নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত, তারিখ: 9/12/2015  
 All Rights Reserved : Lakshmipur24 ©2012- 2024
Editor & Publisher: Sana Ullah Sanu
Ratan Plaza(3rd Floor), ChakBazar, Lakshmipur, Bangladesh.
Ph:+8801794822222, WhatsApp , email: news@lakshmipur24.com