নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এম এম রুহুল আমিনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাদ যোহর রাজধানী উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের খালপাড় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সকাল ১১ টায় মরহুমের প্রথম নামাজে জানাযা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, আইনজীবী, সাবেক প্রধান বিচারপতিরা অংশ নেন।এদিকে বিচারপতি রুহুল আমিনের মৃত্যুতে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে বেলা ১১ টার পর বিচার কাজ বন্ধ রাখা হয়। মঙ্গলবার সকালে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় বিচারপতি এমএম রুহুল আমিন ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৫ বছর।তার দুই ছেলে রাশেদ আহমেদ সুমন ও এম আশরাফ আলী সুজন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। বুধবার রাতে তার লাশ সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়।
এম এম রুহুল আমিন ১৯৪২ সালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার এলাকায় জন্ম গ্রহন করেন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৩ সালে ইতিহাসে মাস্টার্স এবং ১৯৬৬ সালে এলএলবি করে পরের বছর তিনি জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগ দেন।সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০০৮ সালের ১ জুন দায়িত্ব নেন রুহুল আমিন, অবসরে যান ২০০৯ সালের ২২ ডিসেম্বর। দীর্ঘদিন জেলা ও দায়রা আদালতে দায়িত্ব পালনের পর ১৯৯৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে হাই কোর্টে নিয়োগ পান বিচারপতি রুহুল আমীন। দুই বছরের মাথায় তাকে স্থায়ী করা হয়। তাকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয় ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা রুহুল আমিন স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।
0Share