আলী হোসেন: জাল ভোট প্রয়োগ, ভোট কেন্দ্রে প্রকাশ্য ভোট বেচাকেনা, একজন বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে ভোট কেন্দ্র ঘিরে সন্ত্রাসীদের প্রভাব বিস্তারসহ নানা অভিযোগের মধ্যদিয়ে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জস্থ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ পরিচালনা পরিষদের (অভিভাবক প্রতিনিধি) ত্রি-বাষিক নির্বাচন বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে ২হজারা ৯শ ৪১ ভোটের মধ্যে মাত্র ৫শ ১৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট গ্রহণ শেষে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন, মোঃ শাহজাহান (দোয়াত কলম), মফিজুল আলম স্বপন (মাছ) ও বাবুল হোসেন (আনারস)।
এ দিকে পরাজিত প্রার্থী মোঃ আবু তাহের জাহাঙ্গীর (মোরগ) ও কাউছার আহম্মেদ (দেয়ালঘড়ি) সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, মৃত ব্যক্তিকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করণ, জাল ভোট প্রয়োগ, ভোট গ্রহণের সময় ৮টা থেকে ৪টা পর্যন্ত করার নিয়ম থাকলেও উদ্দেশ্যমূলকভাবে ৮-২টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ, এক ভোট প্রয়োগের নিয়ম না থাকলেও সেই ভোটগুলোকে কাষ্ট দেখানো, কেন্দ্রের অভ্যন্তরে বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে ভোট কেনাবেচাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে এই নির্বাচন বাতিলের দাবী জানিয়েছেন তারা। তারা বলেন, একটি বিশেষ দলের প্রার্থীর পক্ষে ভোট কেন্দ্র ঘিরে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা প্রভাব বিস্তার এবং মহড়া দিলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতে সাধারণ ভোটাররা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ওই প্রার্থীকে ভোট দিতে বাধ্য হন। ফলে নির্বাচনে শতভাগ জয়ের সম্ভাবনা থাকলেও তারা পরাজিত হয়েছেন।
অভিভাবক প্রতিনিধির এই নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকলেও ভোটারদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্কভাব লক্ষ্য করা যায়। নির্বাচনে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন, লক্ষ্মীপুরের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (আরডিসি) মোঃ আরিফুজ্জামান। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেন, কলেজের উপাধ্যক্ষ সরকার মোঃ জোবায়েদ আলী এবং সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, কলেজ প্রভাষক প্রিয়বত চৌধুরী ও মোস্তাফিজুর রহমান।
0Share