নিজস্ব প্রতিনিধি: রামগতি উপজেলার আজাদনগর এলাকায় স্টিল সেতুর পাশে ভুলুয়া নদী দখল করে ১০টি দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি গত বছর এসব দোকানঘর নির্মাণ করেন।
স্থানীয় লোকজন বলেন, বর্ষা মৌসুমে নোয়াখালী সদর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চল, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণাঞ্চল এবং কমলনগর উপজেলার পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার পানি ভুলুয়া নদী দিয়ে মেঘনা নদীতে পড়ে। ওই সময় নদীতে পানির চাপ বেড়ে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়।
তীর ভরাট করে দোকানঘর নির্মাণ করার কারণে পানির স্রোত বাধাগ্রস্ত হবে। এতে স্টিলের সেতুটি ধসে পড়তে পারে। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, আজাদনগর এলাকায় স্টিল সেতুর দক্ষিণ পাশ ঘেঁষে নদীর পূর্ব তীর ভরাট করে এসব দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
চর পোড়াগাছা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন বলেন, অবৈধভাবে নদী দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করায় স্টিল সেতুটি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সেতুটির ক্ষতি হলে পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে উপজেলা সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
মো. নুরুল আমিন বলেন, বলেন, ঘরগুলো নির্মাণের সময় বাধা দেওয়া হয়েছে। তবে দখলদারেরা কোনো বাধা মানেনি। পরে দখলদারদের তালিকা তৈরি করে স্থানীয় ভূমি কার্যালয়ে দেওয়া হয়েছে। নদীর তীরে দোকান নির্মাণ করা সেলিম মুহুরির দাবি, নদী তীরের ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি ভরাট তিনি দোকানঘর নির্মাণ করেছেন। নদীর কোনো জমি তিনি দখল করেননি।
চর পোড়াগাছা ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা এ কে এম সাইফ উদ্দিন বলেন, অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
0Share