নিজস্ব প্রতিনিধি: রামগতিতে জাটকা আহরণ হতে বিরত জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ইলিশ জাল সরবরাহ করার টেন্ডার জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কয়েকজন ঠিকাদারের দরপত্র অবৈধভাবে বাতিলের
অভিযোগে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন। লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের এডভোকেট মুহাম্মদ রহমত উল্যাহ বিপ্লব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স বাপ্পী ট্রেডার্স’র স্বত্বাধিকারী মো. আবদুল ওয়ারেছের পক্ষে এ লিগ্যাল নোটিশ দেন।
জাটকা সংরক্ষণ, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও গবেষণা প্রকল্প’র আওতায় ৪ নং এইচ টি সুতার ইলিশ জাল সরবরাহের জন্য গত মাসে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় এ দরপত্র আহবান করে।
প্রকল্পে উপজেলার ৪শ ৫০ জন জেলেকে ৪৫ লাখ টাকার ৪ নং এইচ টি সুতার ইলিশ জাল সরবরাহ করা হবে বলে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়।
‘মেসার্স বাপ্পী ট্রেডার্স’র স্বত্বাধিকারী আলেকজান্ডার এলাকার মো. আবদুল ওয়ারেছ, মো. মোসলেহ উদ্দিনসহ দরপত্রে অংশগ্রহনকারী কয়েকজন ঠিকাদার সোমবার (১১/৫/১৫) জানান, উন্মুক্ত দরপত্র বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া যোগ্যতা অনুসরণ করে ৩৩ জন ঠিকাদার দরপত্রে অংশগ্রহন করেন। দরপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখে দরপত্র বাক্স খুলে ঠিকাদারদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন দরে ৩৩জন দরদাতার তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত তালিকা থেকে কোন কারণ ছাড়াই ২৪ জন ঠিকাদারের দরপত্র বাতিল করে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৯ জন দরদাতাকে তাদের প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মুল কপি জমা দেয়ার জন্য সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পত্র দেন। দরদাতাগণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাগজপত্র জমা দিলেও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন দরপত্রে জালিয়াতি করেন।
ঠিকাদাররা অভিযোগ করে জানান, তিনি একটি মহলের যোগসাজশে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে সর্ব নিম্ন দরদাতাকে কার্যাদেশ না দিয়ে পছন্দনীয় ঠিকাদারের দরপত্রে নিম্নদর উলেখ করে কার্যাদেশ অনুমোদনের জন্য গোপনভাবে অনুমোদনকারি কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাব পাঠান।
দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, দরপত্রের সাথে দাখিল করা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই বাচাই করার সময় কিছু কাগজপত্রে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালার (পিপিআর) শর্তানুযায়ী দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশে কাগজপত্রে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৬ জন ঠিকাদারের দরপত্র বাতিল করা হয়। তিনি আরও জানান, কোন ঠিকাদারের নামে সুপারিশ অনুমোদনকারি কর্তৃপক্ষের নিকট এখনো পাঠানো হয়নি।
0Share