নিজস্ব প্রতিবেদক: কমলনগরে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে অভিযুক্ত মামলার প্রধান আসামিকে মো. রনিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (২৫ এপ্রিল) রাতে স্কুল ছাত্রীর চাচা বাদি হয়ে কমলনগর থানায় মামলা দায়ের কারেন। এর আগে রোববার (২৪ এপ্রিল) রাতে উপজেলার হাজিরহাট এলাকা থেকে অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারী ধর্ষক রনিকে (৩০) আটক করে পুলিশ। বুধবার (২০ এপ্রিল) রাতে ওই স্কুল ছাত্রীকে কৌশলে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নেয় রনি তার সহযোগী মো. কামরুল ইসলাম (২৫)। রনি কমলনগর উপজেলা হাজিরহাট চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের রফিক ড্রাইভারের ছেলে; সহযোগী কামরুল একই এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে। অপহৃত ছাত্রী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী এবং হাজরিহাট ইউনিয়নের চর জাঙ্গালীয়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলার প্রধান আসামী এক সন্তানের জনক রনি স্কুল ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় উত্ত্যক্ত করতো। এ ব্যাপারে স্থানীয় গণ্যমান্যরা রণিকে একাধিকবার সতর্কও করে। বুধবার (২০ এপ্রিল) রাতে রনি ও তারসহযোগী কামরুল ওই স্কুল ছাত্রীকে বাড়ি থেকে কৌশলে তোলে আনে। অপহরণের চার দিন পর রোববার (২৪ এপ্রিল) রাতে পুলিশ হাজিরহাট এলাকা থেকে অপহৃত ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারী ধর্ষক রনিকে আটক করে।
অপহৃত স্কুল ছাত্রীর চাচা মামলার বাদি বলেন, রণি আমার ভাতিজিকে অপহরণ করে, বিয়ের প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে চার দিন একটি বাড়িতে বন্দি রেখে ধর্ষণ করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলনগর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সেলিম চৌধুরী বলেন, অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়ে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত অপহরণকারী রনিকে আটক করা হয়। এব্যাপারে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইনে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রধান আসমী রনিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে; তার সহযোগী কামরুলকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
0Share