নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবতীতে গনধর্ষণ করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে উপজেলার ৯নং ভোলাকোট ইউনিয়নের আতাকরা গ্রামের ঠাকুর বাড়ির আঃ রশিদের ভাড়া বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে । স্থানীয় ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বশির আহম্মেদ মানিকের ভাই নাছির ও তার সহযোগী মোঃ পারভেজ,মনির হোসেন ও আনোয়ার হোসেন সহ ৪ লম্পট জোর পূর্বক দফায় দফায় ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে।পুলিশের সহযোগীতায় স্থানীয় লোকজন ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে রামগঞ্জ থানার এস আই আশরাফ হোসেন ও এএসআই শরীফ হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ধর্ষক আনোয়ার হোসেনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
নাছির স্থানীয় চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদ মানিকের ছোট ভাই ও পারভেজ আতাকরা আকর উদ্দিন বেপারী বাড়ির আঃ হক, মনির হোসেন দেবনগর কাজী বাড়ির রব কাজীর বখাটে ছেলে। আর আনোয়ার হোসেন নোয়াখালী জেলার চরজব্বর থানার রসুলপুর গ্রামের জাহিরের ছেলে। এ ঘটনায় রামগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার যুবতী মেয়েকে ধর্ষক আনোয়ার হোসেন টেলিফোনে বিয়ের প্রলোভনে ৯ অক্টোবর সোমবার রাতে দেহলা বেপারী বাড়ির একটি পরিত্যাক্ত বসত ঘরে এনে রাতভর ধর্ষণ করে। বিষয়টি বশির আহম্মেদ মানিকের ভাই নাছির ও তার সহযোগী পারভেজ এবং মনির হোসেন জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এক পর্যায়ে ওই ৩লম্পট একযোগে যুবতীকে ধর্ষণ করে। বিষটি আশপাশের লোকজন টের পাওয়ায় বুধবার বিকেলে পার্শ্ববর্তী আতাকরা গ্রামের ঠাকুর বাড়ির আঃ রশিদের পরিত্যাক্ত বসতঘরে নিয়ে আবার ওই যুবতীকে পালাক্রমে ধর্ষণ শুরু করলে ধর্ষিতা চিৎকার দেওয়ার আশপাশের লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আনোয়ার হোসেন নামের একজনকে আটক করলেও নাছির,পারভেজ ও মনির পালিয়ে যায়।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ তোতা মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেন নামের একজনকে আটক করা হয়েছে ও মামলার প্রস্তুতি চলছে।
0Share