নিজস্ব প্রতিনিধি: কমলনগরে ইউপি সদস্য মো. সবুজকে বিয়ে করার দাবিতে এক সন্তানের জননী হিন্দু নারী শিমুল মজুমদার (২২) অনশন করেন। সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুর ৩ টা থেকে ইউপি সদস্যদের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেন ওই নারী। রাত ৯ টার দিকে পুলিশ শিমুল মজুমদারকে তোলে নিয়ে তার ভাড়া বাড়িতে রেখে আসেন।
মো. সবুজ কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও চর জাঙ্গালীয়া গ্রামের প্রবাসী আবুল কালাম মাঝির ছেলে। শিমুল মজুমদার নামের ওই হিন্দু নারী একই গ্রামের রুপন্ন মজুমদারের স্ত্রী। গত কয়েক মাস আগে স্ত্রী ও ৫ বছর বয়সের এক পুত্র সন্তানকে রেখে স্বামী রুপন্ন অন্যত্র চলে যান।
জানা গেছে, স্বামীর অনুপস্থিতিতে ইউপি সদস্য সবুজ বিয়ের প্রলভন দেখিয়ে শিমুল মজুমদারের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। শনিবার (২৭ আগস্ট) রাতে অনৈতিক কাজ লিপ্ত হওয়ায় এলাকার লোকজন তাদের দুই জনকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরের দিন রোববার (২৮ আগস্ট) পুলিশ তাদের আদালতে পাঠায়। আদালত শিমুল মজুমদারকে মুক্তি দিলেও ইউপি সদস্য সবুজকে কারাগারে পাঠায়। এক দিন পর সোমবার (২৯ আগস্ট) সবুজও জামিনে মুক্তি পায়। এ খরব পেয়ে শিমুল মজুমদার ইউপি সদস্যের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। এমন পরিস্থিতিতে সবুজের মা ঘরে তালা দিয়ে আত্মীয় বাড়িতে চলে যান। রাত ৯ টার দিকে পুলিশ তাকে ওই বাড়ি থেকে তোলে নিয়ে তার ভাড়া বাড়িতে রেখে আসেন।
শিমুল মজুমদারের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, বিয়েল প্রলভন দেখিয়ে সবুজ দীর্ঘ দিন তার সাথে অনৈতিক কাজ করে আসছিলো। বিয়ে করার আশ্বাস দিলেও বিয়ে করছে না; এখন বিয়ের দাবিতে সবুজের বাড়িতে গিয়ে অনশন করেন।
এব্যাপারে জানতে সবুজের সাথে মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, শিমুল মজুমদার নামের ওই নারী ভালো নন। প্রতিপক্ষসহ একটি মহল পরিকল্পিতভাবে ওই নারীকে দিয়ে ইউপি সদস্য সবুজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির আহাম্মদ বলেন, শিমুল মজুমদার ইউপি সদস্য সবুজের বাড়িতে যায়; এ সময় ওই বাড়িতে কেউ ছিলো। এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার বিষয় ভেবে পুলিশ তাকে তার ভাড়া বাড়িতে রেখে আসে।
0Share