রামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ রামগঞ্জ উপজেলার পানপাড়া গ্রামে অন্তসত্ত্বা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীর ইজ্জতের মুল্য হিসেবে শনিবার রাতে এক লক্ষ টাকা দিয়েছেন গ্রাম্য মাতব্বরেরা। গত ৬ ডিসেম্বর বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত ‘‘রামগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষন’’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের পর থেকে বিষয়টি নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি না করেই গ্রাম্য মাতাব্বরা গাঢাকা দেয় হয়। কিন্তু শনিবার আবার গ্রাম্য মাতাব্বররা বিষয়টি সুরাহা করার জন্য ধর্ষক রহমত উল্যার ১লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে।
সূত্রে জানায়,উপজেলার পানপাড়া ছৈয়াল বাড়ির মৃত আরশাদ আলীর লম্পট পুত্র রহমত উল্যা ২২ জুলাই ভোররাতে পাশ্ববর্তি দিনমজুরের বুদ্ধি প্রতিবন্ধি (১৩) কে বসত ঘরে একা পেয়ে ধর্ষন করার সময় প্রতিবন্ধীর মা-বাবা এর হাতেনাতে ধরা পড়ে। এ সময় ধর্ষক রহমত উল্যাহ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই সময় রক্ষা পায়। এ ঘটনার পর নানা অজুহাতে রহমত উল্যাহ প্রতিবন্ধিকে আরো কয়েকবার ধর্ষন করলে প্রতিবন্ধি অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
এতে লম্পট রহমত উল্যা প্রতিবন্ধির গর্ভপাত করাতে স্থানীয় রসুলপুর বেড়ীর বাজারের গ্রাম্য ডাক্তারের সাথে ৫০হাজার টাকা চুক্তি করে। চুক্তি মোতাবেক ঔষধের মাধ্যমে গর্ভপাতের চেষ্টার এক পর্যায়ে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনের ধর্ষিতা শাররীক অবস্থার অবনতি হয়ে পড়ে। বিষয়টি এলাকাবাসীর মাঝে ছড়িয়ে পড়লে লামচর ইউপির মরহুম চেয়ারম্যান পুত্র ফয়েজ আহম্মেদের নেতৃত্বে নূরনবী লিটন,তুহিন,ইকবাল, আলী আকবর স্বপন,কেরোয়া গ্রামের রুবেল হোসেনসহ কয়েকজন গ্রাম্য মাতব্বর ধর্ষিতার পরিবারকে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং ধর্ষকের পরিবারের কাছ থেকে ২লক্ষ ৭০ হাজার টাকা আদায় করে ধর্ষিতাকে এক লক্ষ টাকা দেয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ধর্ষনে অভিযুক্ত রহমত উল্যাহ বলেন,শালিসদাররা আমার পরিবারের সদস্যদের নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ৩লক্ষ টাকা দাবী করে। শেষ পর্যন্ত ২লক্ষ ৭০হাজার টাকা দিয়েছি।
লামচর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমির হোসেন বলেন,মরহুম চেয়ারম্যান সাহেবের পুত্র বিষয়টি মিমাংসা করেছে শুনেছি। কিন্তু কিভাবে করেছে বলতে পারবো না।
থানার ওসি মোঃ তোতা মিয়া বলেন,প্রতিবন্ধি ধর্ষনের ঘটনাটি বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছি। কেউ মামলা না দেওয়ায় আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারিনি।
0Share