রায়পুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে এক প্রবাসীর স্ত্রীর গোপনে আপত্তিকর ছবি তোলে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে একই এলাকার জহিরুল ইসলাম (৩০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত জহিরুল পৌর শহরের পশ্চিম কেরোয়া গ্রামের পৌর ৮নং ওয়ার্ডের মৃত আমিন উল্যার ছেলে। এঘটনায় ওই গৃহবধু বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে জহিরুল পলাতক রয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে প্রবাসী স্ত্রী গৃহবধুর গোপনে আপত্তিকর কয়েকটি ছবি তোলে জহিরুল তার মোবাইলে। পরে ওই গৃহবধুকে ছবিগুলো দেখিয়ে কয়েক মাস ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে জহিরুল। একপর্যায় গৃহবধু তার ছবির জন্য জহিরুলের প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় এবং শাশুড়ির অগোচরে তার সাথে মোবাইল ফোনে কথাবার্তাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করতে থাকে। পরে জহিরুল পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই গৃহবধুর ছবি মুছে ফেলার কথা বলে গত এক মাস ধরে একই বাড়ীর একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। এমনকি সেই সম্পর্কের ছবিও মোবাইলে ধারণ করে রাখেন জহিরুল। বিষয়টি জানাজানি হলে দু’একদিনের মধ্যেই তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখায় জহিরুল। ওই গৃহবধু সংসারে কলহ দেখা দিলে গত দু’দিন ধরে জহিরুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে জহিরুল বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে বাধ্য হয়ে গৃহবধু তাকে ধর্ষণ ও মোবাইল ফোনে অশ্লীল ছবি তোলার বিষয়ে শাশুড়ি এবং মা ও বাবাকে জানান। ওই গৃহবধুর বাবা বিষয়টি জহিরুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে গৃহবধুর বাবাকে মেয়ের আপত্তিকর ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দিবে বলে ভয় দেখায়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনায় ওই গৃহবধু বাদী হয়ে জহিরুলের বিরুদ্ধে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এঘটনায় অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম পলাতক থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, ঘটনাটি ও মামলার ব্যাপারে গৃহবধুর ও তার বাবা পুলিশকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন। কিন্তু আদালত থেকে এখনও থানায় কোন মামলা কপি আসেনি। আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0Share