নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে আলাদা ঘটনায় শনিবার (৬ আগষ্ট) দুপুরে তিন নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে অজ্ঞাত যুবতী, ৫ ম শ্রেণির ছাত্রী ও প্রবাসীর স্ত্রী রয়েছে। সদর হাসপাতালের মর্গে মরদেহগুলোর ময়না তদন্ত করার জন্য পাঠানো হয়। তবে, এসব ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুর পৌর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসেন হায়দারের শাহপুর এলাকার সুপারি বাগানের ভেতর পুকুরে শনিবার দুপুরে অজ্ঞাত যুবতীর (২৬) মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহতের গায়ের জামা ছেঁড়া এবং ট্রি শার্ট ও কালো প্যান্ট পড়া ছিল। তবে, তার নাম-পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি। একই সময় রায়পুর উপজেলার চরইন্দুরিয়া গ্রাম থেকে স্কুল ছাত্রী ইয়াসমিন আক্তারের (১২) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে ওই গ্রামের মফিজ বেপারীর মেয়ে এবং দক্ষিন চর ইন্দুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ ম শ্রেণির ছাত্রী। হাজীমারা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াহিয়া জানান, স্কুল ছাত্রী গলায় ফাঁস দেওয়ার ঘটনায় অপ-মৃত্যু মামলা করা হয়েছে। তবে, কী কারনে আত্মহত্যা করেছে- তা নিশ্চিতভাবে জানাতে পারেনি তিনি।
এছাড়াও রায়পুরের বামনী ইউনিয়নের পূর্ব সাগরদী গ্রাম থেকে নাজমা আক্তারের (২৭) গলায় ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি কাতার প্রবাসী জাফর হোসেনের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জনক। নাজমার বাড়ির লোকজন জানিয়েছে, পারিবারিক বিষয় নিয়ে কয়েক দিন ধরে নাজমার সঙ্গে শ্বশুর-শাশুড়ির বাধানুবাদ হয়। এজন্য বিদেশ থেকে ফোন করা স্বামী শাসন করে। এর জের ধরে অভিমান করে শুক্রবার রাতের যে কোন সময় গলায় ফাঁস লাগিয়ে নাজমা আত্মহত্যা করে।
এ ব্যাপারে বিকেল পৌনে ৫ টায় লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) খন্দকার গোলাম শাহ নেওয়াজ বলেন, অজ্ঞাত যুবতীর নাম-পরিচয় সনাক্ত হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যার পর মরদেহ পুকুরে ফেলে গিয়েছে। অন্য দুইটি আত্মহত্যার ঘটনা। তিনি আরো বলেন, মরদেহগুলো উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এসব ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
0Share