জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক::লক্ষ্মীপুরে বেকারীর এক কিশোর শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের নাম মোঃ আলাউদ্দিন (১৩)। সোমবার সকালে ওই কিশোরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে, চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বিস্মিল্লাহ রোড এলাকায়। নিহত আলাউদ্দিন দত্তপাড়া ইউনিয়নের উত্তর মাগুরী গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে। হত্যাকান্ডের পর থেকে বেকারীর অন্যান্য শ্রমিকরা পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেকারীর মালিক নাছির উদ্দিন রনি ও মোঃ আল আমিনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকান্ড হিসেবেই ধারণা করছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা, বিস্মিল্লাহ রোড সংলগ্ন স্থানীয় প্রবাসী মালেক হুজুরের মালিকানাধীন একতলা ভবনে ৭/৮ মাস আগে আনন্দময় ফেষ্টিসপ নামক একটি বেকারী চালু করেন, নাছির উদ্দিন রনি ও মোঃ আল আমিন নামে দুই বন্ধু। ওই বেকারীতে নিহত কিশোর আলাউদ্দিনসহ ৪ জন শ্রমিক কাজ করত। এদের মধ্যে মোঃ ইব্রাহীম প্রকাশ শাহজাহান (৩২), শামীম (২২) ও মিজান (২০) তাদের তিনজনের বাড়িই ভোলার জেলার চর ফ্যাশনে। ঘটনার পর কিশোর আলাউদ্দিনের লাশ বিল্ডিংয়ের দোতলা সিঁড়ির একটি রডের সাথে ঝুলিয়ে রেখে ওই ভবনের গেইটে তালা দিয়ে তারা তিনজনই পালিয়ে যায়।
বেকারীর মালিক নাছির উদ্দিন রনি ও আল আমিন জানায়, ঘটনার পর রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই বেকারীর শ্রমিকদের সর্দার মোঃ ইব্রাহীম প্রকাশ শাহজাহান মোবাইলে তাদেরকে জানায় বেকারীতে শ্রমিক আলাউদ্দিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ কথা বলেই সে তার মোবাইল বন্ধ করে দেয়। এরপর তারা চন্দ্রগঞ্জ থানায় এসে খবর দিলে সেকেন্ড অফিসার কাওছার উদ্দিন চৌধুরী, এস আই সাইফুজ্জামানসহ সঙ্গীয় ফোর্স রাত সাড়ে ১১টায় ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেন। এ সময় লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোঃ নাসিম মিয়াও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোঃ নাসিম মিয়া জানান, প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকান্ড হিসেবেই ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0Share