নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর গ্রামে প্রকাশ্যে গুলি করে মো. ইসমাইল হোসেন চৌধুরী (৫০) ও ইব্রাহীম হোসেন রতন (৪৫) নামে দুই ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে জন সন্ত্রাসীরা । বুধবার ( ২৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর গ্রামের বৈদ্দের বাড়ি মোড় এলাকার একটি চা দোকানে তাদের কে কাছ থেকে গুলি করে ৫-৬ জনের একটি সন্ত্রাসী দল।স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনাস্থলেই মো. ইসমাইল হোসেন চৌধুরী (৫০) নিহত হন। অন্য দিকে ইব্রাহীম হোসেন রতন (৪৫) কে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ দুই ভাই পূর্ব বশিকপুর গ্রামের মুন্সি বাড়ির মৃত শরিফ উদ্দিনের ছেলে। লক্ষ্মীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) জুনায়েত কাউসার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসাপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
এদিকে নিহতদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, নিহত ইসমাইলের স্ত্রী তাজকেরা বেগম আহাজারী করছেন। এ সময় রতনের স্ত্রী ও মা বাবা কুমিল্লায় অবস্থান করায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে ইসমাইলের স্ত্রী জানান, আমার স্বামীর কোন শত্রু ছিলনা। রতনের শত্রুরাই দুই ভাইকে মেরে ফেলেছে।
বশিকপুর ইউনিয়নের স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও একই ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী আবুল হোসেন মানিক মাষ্টার জানান, ইব্রাহীম হোসেন রতন এক সময় বিএনপি করতো। বিগত ৭ বছর আগে রতনের নেতৃত্বে বিএনপির ২০/২৫ জন নেতাকর্মী জেলা আওয়ামীলীগের তৎকালীন সভাপতির হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। সে থেকে তারা দুই ভাই আওয়ামীলীগ করেন। তিনি বলেন, রতনের কুমিল্লায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকায় সে কুমিল্লাই থাকতো। আগামী ২৮ মে ইউপি নির্বাচন উপলক্ষ্যে রতন বাড়িতে আসে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, রতন ও ইসমাইল স্থানীয় আওয়ামীলীগের কর্মী ছিল। তবে কারা হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে এ সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।
চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, স্থানীয় রতন বাহিনীর রতন ও তার ভাই ইসমাইল একটি চায়ের দোকানে বসা ছিল। এ সময় মুখোশ পরা ৫/৬ জনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাদেরকে গুলি করলে তারা মারা যান। হত্যাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে ইব্রাহিম হোসেন রতনের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও নাশকতাসহ ৫টি মামলা রয়েছে। সে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী রতন বাহিনীর প্রধান ছিল বলেও জানান তিনি। তবে কি কারণে, কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না।
অন্যদেক এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে বলে ধারনা করছে এলাকাবাসী। গত ১১ মে তারিখে একই এলাকার আরেকজন সন্ত্রাসী ইউসুফ পুলিশের সাথে কথিত গোলাগুলিতে নিহত হন।
0Share