নিজস্ব প্রতিনিধি: রায়পুর উপজেলায় আলাদা ঘটনায় দুই নারী খুন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দিবাগত রাতের যে কোন সময় পরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যা করা হয়। শুক্রবার (৮ জুলাই) সকালে উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের সমিতিরহাট এলাকার খাল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নাছিমা আক্তার (১৫) এবং দুপুরে পৌরসভার নতুন বাজার এলাকার খেজুরতলা থেকে ইট-কংকিট চাপা দেওয়া অবস্থায় লাকী আক্তার (১৮) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে দুই নারী হত্যার ঘটনায় শনিবার (৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। এছাড়াও এসব ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
তবে রায়পুর থানার ডিউটি অফিসার ও পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নুরুল আমিন বলেন, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রস্ততি চলছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও এরসাথে জড়িতদের আটক করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
থানা পুলিশ জানায়, নিহত লাকী উপজেলার গাইয়ারচর গ্রামের হাবিব উল্যার মেয়ে এবং নাছিমা লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের নুর উল্যার মেয়ে।
নিহত লাকীর পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রায় ৮ মাস আগে লাকীর সঙ্গে দেনায়েতপুর এলাকার ছমিদ মিঝির ছেলে মো. সেলিমের বিয়ে হয়। রমজানের ঈদের পোশাক না দেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে লাকীর সঙ্গে সেলিমের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সেলিম লাকীকে বেদম মারধর করে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। লাকীও তাকে ফেরাতে পেছন দিয়ে বের হয়। রাতে সে আর বাসায় ফেরেনি। সকালে বাসার পাশে ইট-কংকিটে চাপা অবস্থায় লাকীর লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
লাকীর বড় বোন সাজু বেগম বলেন, সেলিম পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন করে আমার বোনকে হত্যা করেছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে সে লাশ ইট চাপা দিয়ে রেখেছে। এ ঘটনায় সেলিমের বিচার চাই।
অন্যদিকে, খাল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নাছিমা আক্তারের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের ধারণা, রাতের যে কোন সময় তাকে হত্যা করে মরদেহ খালে ফেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
0Share