নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে অপহরনের ২৭ দিন পর যুবলীগ নেতা মাহবুবের বাসা থেকে হাসি বেগম নামের এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের লামচরী গ্রামের ফেন্সী ভবনের ২য় তলায় ওই যুবলীগ নেতার ভাড়া বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে লক্ষ্মীপুর সদর থানার মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অপহৃত কিশোরী হাসি সদর উপজেলার চররুহিতা গ্রামের বেড়ী পাশে খোরশেদ আলম খোকনের মেয়ে। অপরদিকে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মাহবুবুল হক মাহবুব লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা যুবলীগের ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক।
অপহৃত হাসির অবস্থান জানতে পেরে শুক্রবার সকালে তার বাবা খোরশেদ আলম খোকন গণমাধ্যমকর্মীদের জানায়, আমার মেয়ের খোঁজ পেয়েছি। হাসি এখন লামচরী এলাকার যুবলীগ নেতা মাহবুবের বাসায় আছে। হাসিকে মামলার আসামীরা আটক করে রেখেছে। এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় গণমাধ্যমকর্মীরা। এ সময় ওই যুবলীগ নেতা মাহবুবের বাসায় হাসিকে পাওয়া যায়। যুবলীগ নেতাসহ মামলার আসামীরা হাসিকে ২৭দিন যাবত আটক রেখে নির্যাতন করে।
ঘটনাস্থলেই হাসি সাংবাদিকদের কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমাকে বাচাঁন আমার উপর অনেক নির্যাতন করা হয়েছে। তবে মূল ঘটনা জানাতে চাইলে হাসিকে গালমন্দ করে চুপ থাকার জন্য হুমকীদেন যুবলীগ নেতা। এক পর্যায়ে সাংবাদিক ও স্থানীয়দের তোফের মুখে পড়ে যুবলীগ নেতা হাসিকে তড়িগড়ি করে তার বাসা থেকে বের করে দেয় এবং প্রকাশ্যে মারধর করে।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মাহবুবের সাথে হাসির বিষয়ে চানতে চাইলে, কোন কিছু না বলে যুবলীগ নেতা মাহবুব গণমাধ্যম কর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ক্যামেরা চিনিয়ে নেওয়া চেষ্টা করে।
লক্ষ্মীপুর সিআইড’র ইনচার্জ মোঃ আবু জাহের সরকার শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন, অপহৃত কিশোরী হাসিকে ্উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিক অনুন্ধানী কার্যক্রম চলছে।
এর আগে গত শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে ওই কিশোরী অপহরণ হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই কিশোরির বাবা খোরশেদ আলম পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তাতেও কোন ফল না পেয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মো: সুজন (৪০) কে প্রধান আসামী করে ৭জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের কারেন।
0Share