নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরে বাবাকে কুপিয়ে ও মাকে পিটিয়ে অস্ত্রের মুখে এক কলেজ ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গেছে হেলাল উদ্দিন (২৬) নামে এক নির্মাণ শ্রমিক। রোববার (৯ জুলাই) সকালে লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে আটককৃতদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। এর আগে শনিবার রাতে হেলাল ১০-১২ জন সহযোগী নিয়ে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আবিরনগর গ্রামের কাশেম ড্রাইভারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে কলেজ ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায়। এসময় কলেজছাত্রীর বাবা আবুল কাশেমকে (৫৪) কুপিয়ে ও তার মা কুলসুম বেগমকে (৪৩) পিটিয়ে আহত করে অপহরণকারীরা।
পরে স্থানীয়রা তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অপহৃত কলেজছাত্রী ভবানীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পুলিশ ও অপহৃতার পরিবার জানায়, স্থানীয় আবিরনগর গ্রামের বাসিন্দা লেংড়া খোকনের ছেলে নির্মাণ শ্রমিক হেলাল উদ্দিন দীর্ঘদিন থেকে তাদের পাশ্ববর্তী ওই কলেজছাত্রীকে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছে। সম্প্রতি ওই ছাত্রীর বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই ছাত্রীর মা-বাবা তাদের রান্না ঘরে খাবার খেতে যান। এ সময় বখাটে হেলাল ও তার সহযোগীরা রান্না ঘরে তাদেরকে আটকে রেখে বসত ঘরে ঢুকে। পরে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক মুখ বেঁধে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মেয়ের চিৎকার শুনে বাবা-মা রান্না ঘরের বেড়া ভেঙ্গে বের হয়ে অপহরণকারীদের বাধা দেয়। এসময় বাবা আবুল কাশেমকে কুপিয়ে ও মা কুলসুমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রীর বাবা আবুল কাশেম বলেন, ১০-১২জন সন্ত্রাসী রাতে আমার বসত ঘরে এসে আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে কুপিয়ে ও মারধর করে অস্ত্রের মুখে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। ছাত্রীর মা কুলসুম বেগম বলেন, সন্ত্রাসীরা আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে। আমি আমার মেয়েকে সুস্থ্য অবস্থায় ফিরে পেতে সরকার ও প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাই। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বলেন, আবুল কাশেম নামের ওই ছাত্রীর বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার হাত ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অপহরণের সাথে জড়িত ৫জনকে আটক করা হযেছে। অপহৃতাকে উদ্ধারে পুলিশী অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
0Share