নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী মাহদিয়া হক রোদেলা (১৫) কোথায় আছে জানে না তার পরিবার। মেয়ে কে উদ্ধারের জন্য এ দিকে থানায় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট মেয়েকে উদ্ধারের জন্য লিখিত অভিযোগ করার পর অপহরণকারি ও তার পরিবারের সদস্যদের অব্যহত হুমকী ধমকীতে স্কুল ছাত্রীর চাকুরীজীবি মা বাবা এখন প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে। রোদেলার পরিবারের সদস্যরা জানান,রায়পুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী মাহদিয়া হক রোদেলা গত ১১ ডিসেম্বর দুপুরে বার্ষিক পরীক্ষা শেষে বিদ্যালয় থেকে তাদের রায়পুর শহরের দেনায়েতপুরের বাসায় ফেরার পথে কা নপুর গ্রামের বাসিন্দা খোরশেদ আলমের পুত্র আরিফ হোসেন বাবুর নেতৃত্বে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মেয়ে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি না ফেরায় মেয়ের মা বাবা মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকলে বিকালে একটি ফোন থেকে রোদেলা তাকে আরিফ হোসেন এর নেতৃত্বে অপহরণ করা হয়েছে মর্মে জানায়। পরে তারা রায়পুর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরী এন্টি করে। এর পর থেকে পুলিশ রোদেলার পরিবারের সহায়তায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান করেও রোদেলাকে উদ্ধার করতে পারেনি। এ দিকে পুলিশ অপহরণকারি বাবুর পিতা খোরশেদ আলম ও এক ভাইকে থানায় ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা তিনদিনের মধ্যে রোদেলাকে উদ্ধার করেদিবে মর্মে প্রতিশ্রুতি দিলে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়। এর পর থেকে পুলিশ আর কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।
রোদেলার বাবা একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকুরীরত আমিনুল হক ও ঢাকা আহছানিয়া মিশন রায়পুর শাখায় কর্মরত মা কামরুন্নাহার মুকুল।
এদিকে মেয়েকে ফেরৎ পাওয়ার জন্য তারা রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিল্পী রাণী রায় এর নিকট একটি লিখিত আবেদন করলে তিনি সে আবেদনটি রায়পুর থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রেরণ করেন। কিন্তু পুলিশ কোন তৎপরতা দেখাচ্ছেনা।
এ দিকে অপহরণকারি বাবুর পিতা খোরশেদ আলম ও থানা ও ইউএনও অফিস থেকে অভিযোগ প্রত্যাহার করতে নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ ও হুমকী ধমকী দিয়ে যাচ্ছে। এসব কিছু পুলিশকে জানালেও পুলিশ তাদের কোন সহযোগীতা করছেনা। বৃহস্পতিবার সকালে রোদেলার বাবা মা এ প্রতিবেদকে জানান, অপহরণকারিদের অব্যহত হুমকী ধমকীতে তারা এখন চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। তারা এখন তাদের রায়পুরের বাসা ছেড়েদিয়ে লক্ষ্মীপুর শহরে বাসা ভাড়া নিতে বাধ্য হয়েছেন। দিনে তারা রায়পুরের বাসায় গেলেও প্রাণ ভয়ে রাতে তারা বিভিন্ন বাসায় গিয়ে রাত্রি যাপন করেন। হুমকী ধমকীর কারণে তারা এখন কর্মস্থলেও যেতে সাহস পাচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগের তদন্তকারি কর্মকর্তা রায়পুর থানার এস আই এরশাদ জানান, পুলিশ অপহৃত স্কুল ছাত্রী রোদেলাকে উদ্ধারের জন্য তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের পক্ষথেকে আন্তরিকতার কমতি নেই।
0Share