রামগঞ্জ : ঢাকাস্থ মিরপুরের শাহ আলী মহিলা কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী মরিয়ম আক্তার পুতুল ১১দিন নিখোঁজের পর রামগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রামগঞ্জ থানার এস আই ওসমান ও মোখলেছ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে পৌরসভার পূর্ব কাজিরখিল হাজী বাড়ির মোঃ মোস্তফার বসত ঘর থেকে ওই কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করেন। মরিয়ম বাংলাদেশ বেতারের হিসাব রক্ষক এস এম হাসানের মেয়ে ও ঢাকাস্থ মিরপুর শাহ আলী মহিলা কলেজের ব্যাবসা শিক্ষা বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, গত ১০ই ডিসেম্বর সকালে মরিয়ম আক্তার কলেজে যাওয়ার কথা বলে মিরপুর -১নং কলওয়ালা একটি বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আর বাসা ফিরেনি। পরে বহু খোজাখুজির পর কোন সন্ধান না পেয়ে ছাত্রীর পিতা এস এম হাসান ১১ ডিসেম্বর রবিবার বাদী হয়ে ঢাকাস্থ মিরপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরই সূত্রধরে রামগঞ্জ থানা পুলিশ রামগঞ্জ পৌরসভার পূর্ব কাজিরখিল হাজী বাড়ির মোঃ মোস্তফার বসত ঘর থেকে শরীয়তপুর জেলার ঘোসাইর হাট উপজেলার দাসের জঙ্গল গ্রামের খাঁন বাড়ির জয়নাল আবেদিনের বখাটে ছেলে তানভীর সহ ঢাকাস্থ শাহ আলী মহিলা কলেজের ছাত্রী মরিয়মকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
কলেজ ছাত্রী মরিয়মের ভাই জাকির হাসান জানান, শরীয়তপুর জেলার ঘোসাইর হাট উপজেলার দাসের জঙ্গল গ্রামের খাঁন বাড়ির জয়নাল আবেদিনের বখাটে ছেলে তানভীর আমার বোন মরিয়মকে কৌশলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে নিয়ে যায়।
রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ তোতা মিয়া জানান, ছাত্রীর পিতা এস এম হাসান ঢাকা মিরপুর মডেল থানার অভিযোগের ভিত্তিতেই কলেজ ছাত্রী মরিয়ম ও তানভীর সহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
0Share