নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ হত্যাসহ ১১ মামলার আসামি তারেক (২৮) নামের এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছে। শনিবার রাত ২টার দিকে পার্বতীনগর ইউনিয়নে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় ৪ পুলিশ সদস্য আহত ও ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। নিহত রতন সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ মকরদস গ্রামের আবদুর শুকুর ওরফে সিরাজের ছেলে।
আহত পুলিশ কনষ্ট্রেবলরা হলেন, মাঈন উদ্দিন, মহিন উদ্দিন, হেলাল চৌধুরী ও সালাউদ্দিন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নে একদল ডাকাত অবস্থান করছে। এসময় টের পেয়ে টহল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে ডাকাতরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। এতে ডাকাত দলের সদস্য তারেক গুলিবিদ্ধ এবং ৪ পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হয়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় বন্দুক ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ তারেককে মৃত ঘোষণা করে। ওই ৪ পুলিশ সদস্য একই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নিহত তারেকের বুকে দুটি ও পিঠে একটি গুলির চিহ্ন রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আ স ম মাহতাব উদ্দিন বলেন, নিহত ডাকাত সদস্য তারেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা রয়েছে। তারেক ২৫ মে বশিকপুর ইউনিয়নের দুই সহোদর রতন ও মানিক হত্যা মামলার আসামি।
0Share