রায়পুর প্রতিনিধি: গ্রাম পুলিশে পক্ষে পরিবারিক বিরোধের মামলার স্বাক্ষী না হওয়ায় ফসলের ক্ষতি ও দু’দিন অবরুদ্ধ করে রেখেছে মোঃ ফরিদ আলম নামে এক কৃষক পরিবারকে। ঘটনাটি ঘটছে মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বামানী ইউনিয়নের দক্ষিণ কাঞ্চনপুর গ্রামের হজু বেপারী বাড়ীতে। কৃষক ফরিদ আলম ঘটনাটি বিচার দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে ইউএনও ওসিকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ফরিদ আলম সাংবাদিকদের কাছে জানান, বামনী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ শাহ আলম ও তার বড় ভাই মোস্তাফা বেপারীর সাথে ৩ বছর ধরে জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধে মারামারি ও পাল্টাপাল্টি মামলা চলে আসছে। এ ঘটনায় নিরীহ কৃষক ফরিদ আলম গ্রামপুলিশের পক্ষে মামলার স্বাক্ষী না হওয়ায় গত চার দিন আগে তার ১১ শতাংশ জমির ফসল বাধঁ কেটে পানি দিয়ে ডুবিয়ে নষ্ট করে দেয়। এ ঘটনা বিচার চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের অবহিত করে থানায় অভিযোগ করেন। এরই জের ধরে গ্রামপুলিশ শাহ্ আলম আরো ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার সকালে ফরিদ আলমের বসত ঘর সহ চলাচলের রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে দু’দিন ধরে বন্ধ করে অবরুদ্ধ করে রাখে। ওই গ্রামপুলিশের ভয়ে কৃষক পরিবার আতঙ্গে রয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ শাহ আলম ও তার স্ত্রী আর্জিনা বেগম বলেন, আমরা আমাদের ক্রয়কৃত জমিতে বাঁশের বেড়া দিয়েছি। সরকারি জমিতে ফরিদ আলম গংরা ইমারত নির্মাণ করার কারনে জমিটি দখল হয়ে যায়। সেজন্য লোকজন ওই জমিদিয়ে চলাচল করায় বন্ধ করে দিয়েছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) নজির আহাম্মদ বাবুল বলেন, গ্রামপুলিশ ও তার বড় ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিরোধ ২০ বছর ধরে লেগেই আছে। গ্রামপুলিশ আমাদের কথা শুনছে না। কৃষক বসতঘরের সামনে থেকে বাঁশের বেড়া খুলে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
0Share